বিশেষ প্রতিনিধি ঃ-
অল্প সময়ে অধিক লাভজনক ফসল হওয়ায় নিজেদের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তনে মানিকগঞ্জের সিংগাইরের ব্যাপক হারে বেড়ে চলছে গাজরের আবাদ। এবার চাহিদা থাকায় ভালো দামও পাচ্ছেন কৃষকরা। আবার গাজরের পাতা ও উচ্ছিষ্ট অংশ যোগান দিচ্ছে গরু-ছাগলের খাবারের।
বর্তমানে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে রপ্তানিও হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। বেলে দোঁআশ মাটিতে আশ্বিন-কার্তিক মাসে বীজ বপন করতে হয়। তিন মাসের মধ্যে পরিপক্ব হয় গাজর।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ এলাকায় গাজর চাষ শুরু হয়েছ প্রায় তিন যুগ ধরে। প্রথম দিকে শুধুমাত্র জয়মন্টপ ইউনিয়নের দেউলী-দশানী ও ধল্লা ইউনিয়নের নয়াপাড়ায় স্বল্প পরিসরে এর চাষাবাদ শুরু হয়।
সময়ের পরিক্রমায় এখন উপজেলার দুর্গাপুর, চর দুর্গাপুর, ভাকুম, কিটিংচর, দেউলী, দশানী, নয়াপাড়া, মেদুলিয়া, গাজিন্দা, লক্ষীপুর, নীলটেক, কানাইনগর, মোসলেমাবাদ, আজিমপুর, চালিতাপাড়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৬ হাজারেরও বেশি কৃষক গাজর চাষের সঙ্গে জড়িত।
এসব গ্রামের পরিচিতি এখন গাজরের গ্রাম হিসেবেই। সব মিলে সিংগাইর উপজেলা গাজরের ঝুড়ি হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে।