1. info@www.protivanews.com : প্রতিভা নিউজ :
শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :

ফেনীতে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস পালিত

প্রতিনিধি :
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০২৫
  • ৫৭ বার পড়া হয়েছে

মোকছুদুর রহমান মিয়াজী :-
সারাদেশের মত ফেনী জেলার সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের কনফারেন্স হলরুমে সোমবার (২৪ মার্চ) বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসের এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে সোমবার সকাল ১১ টায় সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ের সামনে পর্যন্ত একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালী অনুষ্ঠিত হয়।

ফেনী জেলায় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কাজ করছে। ব্র্যাক এর অফিসের হিসাব অনুযায়ী ২০২৪ সালে যক্ষ্মার উপসর্গ আছে এমন রোগীর সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার ৬৪২ জন মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এবং ৬ হাজার ৪৩৯ জনের এক্সরে করানো হয়। এতে নতুন করে ২৭৯৫ জন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এই যক্ষ্মা রোগীর মধ্যে পুরুষ ১৪৬২ জন, মহিলা ১২৬৪ জন ও শিশু ৬৯ জন। ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা ১১ জন। চিকিৎসার পর আবারও ১৪৬ জনের যক্ষা শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ১০০ জন ও মহিলা ৪৬ জন। যক্ষ্মার জীবাণু আছে এমন পরিবারের ১৬৭১ লোকজনকে প্রতিশোধক দেয়া হয়েছে। তবে সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় না হওয়ায় শিশুদের যক্ষ্মা মোকাবিলা এখনও চ্যালেঞ্জিং। শিশু মৃত্যু রোধে তাদের যক্ষ্মা নির্ণয় ও চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও সহজ করার আহ্বান চিকিৎসকদের।

২০২৩ সালে ২৯২৭ জন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ১৪৪৪ জন, মহিলা ১৪১৪ জন ও শিশু ৬৯ জন। ফেনী সদর উপজেলা ব্র্যাক এর প্রোগ্রামার অফিসার জাফর আলী দৈনিক বিজনেস ফাইল কে বলেন, ২০৩৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মা নির্মুলের জন্য কাজ করে যাচ্ছে ব্র্যাক। দেশে বিনামূল্যে দেওয়া হয় যক্ষ্মার (টিবি) চিকিৎসা। সঠিকভাবে ওষুধ সেবনে রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়। সরকারের নানা উদ্যোগে গত এক দশকে যক্ষ্মা রোগে মৃত্যুর সংখ্যা নেমে এসেছে অর্ধেকে।

নতুন করে যক্ষ্মা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, যক্ষ্মায় আক্রান্ত ও মৃত্যুহার কমাতে সময়মতো রোগ শনাক্তের বিকল্প নেই। তাই পরিবারের একজনের যক্ষ্মা হলে সবার পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন তারা।

যক্ষ্মা প্রধানত ফুসফুসকে প্রভাবিত করে, তবে এটি কিডনি, মেরুদণ্ড এবং মস্তিষ্ককেও প্রভাবিত করতে পারে। যখন একজন সংক্রামিত ব্যক্তি কাশি বা হাঁচি দেয়, তখন টিবি বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং এটি এমন এলাকায় বেশি দেখা যায় যেখানে কম বায়ুচলাচল এবং জনাকীর্ণ জীবনযাত্রার পরিবেশ রয়েছে।

আলোচনা সভায় সঞ্চালনা করেন ডাঃ ইমাম হোসেন ইমো। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেনী জেলার সিভিল সার্জন ডা. রুবাইয়াত বিন করিম। এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা ও উপজেলার ডাক্তার, স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট