1. info@www.protivanews.com : প্রতিভা নিউজ :
শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :

ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে: সালাউদ্দিন আহমেদ

প্রতিনিধি :
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৯৫ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টারঃ-
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরে মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সংস্কারগুলো তার আগে করে নিতে হবে। সংস্কার সংস্কার বলে নির্বাচন বিলম্বিত করবেন না। বাংলাদেশে যারা অনুপাতিক ভোট চায়, বাংলাদেশ নিয়ে তাদের অনুপাত জ্ঞান নাই।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ফেনীর ঐতিহাসিক মিজান ময়দানে ফেনী জেলা বিএনপির আয়োজনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি, পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের বিচার ও দ্রুত গণতান্ত্রিক উত্তরণের লক্ষ্যে নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণার দাবিতে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, যারা আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় তাদের মতলব কি জানতে হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে আয়োজন করা হবে। সুতরাং সবার আগে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনাসহ এমপি-মন্ত্রী সবাই গণহত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন, আওয়ামী লীগসহ তাদের সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গণহত্যা চালিয়েছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে।

সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, এটি আজ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দাবি; এর মাধ্যমে নির্ধারিত হবে তারা আগামীতে নির্বাচন করতে পারবে কিনা। শেখ হাসিনার বাবা স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে পাকিস্তানে অন্তরিন ছিলেন। আর শেখ হাসিনাও দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। এখন প্রতিবেশী একটি দেশে বসে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। অথচ বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ইতিহাস হাজার বছরের। আমরা সবাই মিলেমিশে এদেশে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান একসাথে বসবাস করি। আওয়ামী লীগের ইতিহাস গণতন্ত্র হত্যার ইতিহাস। তারা ’৭৫-এ  বাকশাল করে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছে। হাসিনা একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু পারেননি, হাসিনা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

এসময় তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা ধ্বংসের পেছনে শেখ হাসিনার দোসরদের হাত ছিল। তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং বিচার করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদাসীন হলে হবে না, সরকারকে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। উপদেষ্টাদের যারা ফ্যাসিবাদের দোসর ছিলেন তাদের বাদ দিতে হবে। ফ্যাসিস্টদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেভাবে পারেন, বাজারে পণ্য সরবরাহ বাড়ান। বাজার স্থিতিশীল করুন। সিন্ডিকেট দমন করুন। জনগণ সংস্কার বোঝেনা, তারা দ্রব্যমূল্যের স্থিতিশীলতা চায়, তারা পরিবার বোঝে সংসার বোঝে। রমজান মাসে যেন কোনো জিনিসপত্রের দাম না বাড়ে। প্রয়োজনে ভ্যাট-ট্যাক্স কমিয়ে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সক্রিয় করে; যারা পালিয়ে গেছে তাদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

ফেনী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহারের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, যুগ্ম আহ্বায়ক এয়াকুব নবী ও আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারীর যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন (ভিপি জয়নাল), ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুন, বিএনপির গ্রাম বিষয়ক সহ-সম্পাদক বেলাল আহমেদ, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সহ-সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল লতিফ জনি, অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন খান পিপি, জালাল আহমেদ মজুমদার, শাহানা আক্তার শানু, আবু তালেব, মশিউর রহমান বিপ্লব।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর এম এ খালেক, গাজী হাবিবউল্লাহ মানিক, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুর রহমান বকুল, সদস্য সচিব আমান উদ্দিন কায়সার সাব্বির, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন বাবুল, সদস্য সচিব মেজবাহ উদ্দিন। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী জনসভায় উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট