বিশেষ প্রতিনিধি ঃ –
কুড়িগ্রামের নদনদীর চরাঞ্চলে আগাম ভুট্টা চাষে ঝুঁকেছেন জেলার সকল উপজেলার কৃষকরা। চলতি বছর তারা এ চাষে ভালো ফলনের প্রত্যাশা করছেন। গত বছর ভুট্টার দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা চরাঞ্চলের বালু জমিতে আগাম ভুট্টা চাষে ঝুঁকেছেন। ১০৫ থেকে ১২০ দিনে এসব ভুট্টা আবাদ করে তা উত্তোলন করে একই জমিতে নতুন করে আউশ ধান ও পাটসহ অন্যান্য ফসল চাষ করে লাভবান হওয়ার আশা করছেন তারা।
কুড়িগ্রাম জেলা ছোট বড় ১৬টি নদ নদী বিধৌত জেলা। এ জেলার তিস্তা,দুধকুমর,ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ দীতে প্রায় ৪শতাধিক চর রয়েছে। এসব চরাঞ্চলের ধু-ধু বালুতে ভুট্টার চাষ করছেন অনেক কৃষক।একটু আগে তারা লাগিয়েছেন ভুট্টা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবং রোগ বালাইয়ের তেমন কোন প্রাদুর্ভাব না হলে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। চরাঞ্চলের বালু জমিতে তুলনামূলক সেচ,সার ও কীটনাশকের কম প্রয়োগের মাধ্যমে কৃষকরা ভুট্টা চাষে লাভবান হচ্ছে। তবে তাদের প্রত্যাশা ১০৫ থেকে ১২০ দিনের মধ্যে এ ভুট্টা উত্তোলন করে আগাম নতুন ভুট্টার বাজার ধরার পাশাপাশি একই জমিতে আউশ ধান ও পাটসহ অন্যান্য ফসল আবাদ করতে পারবেন। সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের কালির আলগা চরের কৃষক হেমায়েত মিয়া জানান,চরের ১২শতক জমিতে ভুট্টা চাষ করে এবার ভালো ফলনের আশা করছি।এ চাষে খরচ কম এবং ফলন ভালো হলে লাভও হতে পারব।
কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে জেলার সদর, নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী, ফুলবাড়ী, উলিপুর ও রাজারহাটসহ সব উপজেলা এবং চরগুলোতে বর্তমান রবি মৌসুমে বারি হাইব্রিড -৫,বারি হাইব্রিড -৭,বারি হাইব্রিড-৯, ইউনাইটেড-৫৫ হাইব্রিড ভুট্টা জাত মিলে ১৬ হাজার ৮ শত হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। কিন্তু এর চেয়েও বেশি এ পর্যন্ত অর্জন হয়েছে ১৮ হাজার ৭ শত ৫০ হেক্টও জমিতে। এছাড়াও হেক্টর প্রতি ফলন ১১ মে. টন পর্যন্ত হতে পারে বলে কৃষকদের প্রত্যাশা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,চলতি মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ভুট্টার ভালো ফলনের প্রত্যাশা করা যায়। উন্নত প্রযুক্তি ও আধুনিক চাষাবাদের মাধ্যমে ভুট্টা চাষ করে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান আরো উন্নত হবে বলে জানান তিনি।